December 23, 2024, 3:01 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক, চুয়াডাঙ্গা/
চুয়াডাঙ্গায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। গেল ২৪ ঘন্টায় এ জেলায় এক শিশু ও সাত পুলিশ সদস্যসহ নতুন করে ১৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত বুধবার করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যা ওয়া বৃদ্ধ সোলাইমান হকের শরীরে করোনার উপস্থিতি পেয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। মারা যাওয়ার পর নমুনা পরীক্ষায় তিনি করোনা শনাক্ত হন। তার স্ত্রীসহ পরিবারের আরও দুই সদস্যও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।এনিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬৪ জনে। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮৯ জন ও মারা গেছেন ২ জন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা.এএসএম মারুফ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান,গত ২৪ ঘন্টায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে ১১৫ জনের নমুনার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ১৭ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৪ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ১২ জন ও জীবননগর উপজেলার একজন রয়েছেন। এদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামের একজন, কুলচারা গ্রামের দু’জন ও পুলিশ লাইনের একজন সদস্য, জীবননগর উপজেলার খয়েরহুদা গ্রামের এক শিশু, দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা ও দামুড়হুদা মডেল থানার উপ-পরিদর্শকসহ ৭ পুলিশ সদস্য, দলিয়ারপুর গ্রামের দু’জন, নতিপোতা গ্রামের একজন ও দর্শনা বাসস্টন্ডপাড়ার করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিসহ পরিবারের তিনজন। গতকাল বুধবার রাতে দামুড়হুদা মডেল থানা থেকে ৪ জন, দর্শনা থানা থেকে ২ জন এবং চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্সের ১ পুলিশ সদস্যকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদিকে, গতকাল সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণকারী দর্শনার সোলাইমান হক করোনায় আক্রান্ত ছিলেন বলে নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন। পরে তার স্ত্রীসহ পরিবারের আরও দুই সদস্য করোনায় আক্রান্ত হন। গেল রাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক বলেন,এ পর্যন্ত দর্শনা থানা, দামুড়হুদা মডেল থানা ও পুলিশ লাইনের ২৩ জন পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন সুস্থ হয়েছেন। পুলিশ সদস্যদের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পুলিশ সদস্যরা নতুন করে আর যেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হয় সে ব্যাপারে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। নতুন আক্রান্ত সাতজনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়েছে। নতুন আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা সবাইকে চিহ্নিত করে আলাদা রাখা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মার্চ চুয়াডাঙ্গায় প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন ইতালি ফেরত এক যুবক। তার বাড়ি আলমডাঙ্গায়।জেলার চার উপজেলা থেকে এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১ হাজার ৮৬৭ জনের। প্রতিবেদন এসেছে ১ হাজার ৭৩৩ জনের। জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৪ জন নারী-পুরুষ। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮৯ জন ও মারা গেছেন ২ জন। আর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে একজনকে।সেখান থেকে সুস্থ্ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছেন ৩২ জন, হোম আইসোলেশনে আছেন ৩২ জন ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৬ জন এবং হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৭০৬ জন।
Leave a Reply